করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ১ লাখ টাকার কম ঋণ নিয়েছে, এমন গ্রাহকদের এপ্রিল ও মে মাসের পুরো সুদ মওকুফ হচ্ছে। আর ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতাদের সুদ মওকুফ হবে বার্ষিক ২ শতাংশ পর্যন্ত। এর চেয়ে বড় ঋণ গ্রহীতারা বার্ষিক ১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মওকুফ পাবে, তবে একজন গ্রাহক কোনোভাবেই ১২ লাখ টাকার বেশি মওকুফ সুবিধা পাবে না।
সরকারের দেওয়া ২ হাজার কোটি টাকা সুদ ভর্তুকি এভাবেই গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ হবে। তবে শুধু নিয়মিত ঋণগ্রহীতারাই এ সুযোগ পাবে। আর ক্রেডিট কার্ড, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের ঋণ ও কোনো বৈদেশিক ঋণ এ সুবিধা পাবে না।
এমন শর্ত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ দুই মাসের সুদ ভর্তুকির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আর ব্যাংকগুলোকে বলেছে, এপ্রিল ও মে মাসের সুদ আয় খাতে নেওয়া যাবে। আবার ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত এসব সুদের ওপর কোনোভাবেই সুদ আরোপ করা যাবে না। এসব সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। বাকি সুদ চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে আদায় করতে হবে। এর আগে কোনো ঋণের কিস্তি শেষ হলে তা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আদায় করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩ মে জানিয়েছিল, এপ্রিল ও মে মাসের সুদ ব্যাংকগুলো আয় খাতে নিতে পারবে না। সুদ আয় খাতে না নিলে ব্যাংক লোকসান চলে যাবে, এ জন্য ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি তোলা হয়। এরপর সরকারের পক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা সুদ ভর্তুকির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করে দিয়েছে, কোন গ্রাহক কি পরিমাণ সুদ ভর্তুকি পাবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে ঋণ গ্রহীতাদের নানা রকম সুবিধা দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল চলতি জুন পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও খেলাপি করতে না পারা। এরপর দেওয়া হয় সুদ ভর্তুকি সুবিধা।
[ad_2]
Source link