৭ মিনিটেই ভারতের কোচ হয়েছেন কারস্টেন

[ad_1]

মজার এক তথ্য জানালেন কারস্টেন। ছবি: টুইটার


আধুনিক যুগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল কোচ মানা হয় গ্যারি কারস্টেনকে। সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কীভাবে চাকরিটা পেলেন, সে নিয়ে মজার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি


আধুনিক যুগে ধোনি-কোহলিদের সবচেয়ে সফল কোচ কে ছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে সবাই একবাক্যে গ্যারি কারস্টেনের নাম বলবেন। ভারতকে পরম আরাধ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ যে জিতিয়েছেন এই কোচ! কিন্তু ভারতের চাকরি নেওয়ার আগে তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না সাবেক এই প্রোটিয়া ওপেনারের। ফলে এক মজার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে।


কোনো কথাবার্তা ছাড়াই একদিন হুট করে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাবটা পেয়ে বসেন কারস্টেন, 'আমি গাভাস্কারের কাছ থেকে একটা ই-মেইল পেলাম। যেখানে লেখা ছিল, আমি ভারতের কোচ হতে আগ্রহী কি না।'


কারস্টেন প্রথমে ভেবেছিলেন, কেউ হয়তো তাঁর সঙ্গে নিছক মজা করছে, 'আমার প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। ভেবেছিলাম, কেউ ফাজলামো করছে হয়তো। এরপর ও আমাকে আবার আরেকটা মেইল পাঠায়। সেখানে জিজ্ঞেস করে, আমি একটা সাক্ষাৎকার দিতে আসতে পারব কি না। আমি আমার স্ত্রীকে মেইলটা দেখাই। সে বলল, ওরা নিশ্চয়ই ভুল করেছে। আমাকে নির্বাচন করার বিষয়টা আশ্চর্য ঠেকেছিল, কেননা আমার কোচিং নিয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না।'


এমনকি কারস্টেনকে যে চাকরির জন্য আহ্‌বা‌ন করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে তখনকার অধিনায়ক অনিল কুম্বলেও কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন কারস্টেন, 'যেদিন সাক্ষাৎকার দিতে গেলাম, সেখানেও আরেক বিপত্তি। তৎকালীন ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। ও জিজ্ঞেস করল, 'তুমি এখানে কি করছ?' আমি বললাম, আমি তো সাক্ষাৎকার দিতে এসেছি! তোমাদের কোচ হওয়ার জন্য! এরপর আমরা দুজনেই কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম। হাসির ব্যাপারই বটে।'


কোনো ধরণের প্রস্তুতি ছাড়াই সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন কারস্টেন। ফলে সাক্ষাতকারের মধ্যেও হয়েছিল মজার আরেক ঘটনা, 'বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে সভাকক্ষে বসলাম। রবি শাস্ত্রী ছিল। সেক্রেটারি জিজ্ঞেস করল, ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার পরিকল্পনা কী। আমি সোজাসাপ্টা বলে দিলাম, আমি কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এসেছি। আমি মাত্রই এসে হাজির হলাম। পরে রবি শাস্ত্রী অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য জিজ্ঞেস করল, গ্যারি, তোমরা খেলোয়াড়ি জীবনে কী কী করতে ভারতকে হারানোর জন্য? আমার তখন মনে হলো এই প্রশ্নের উত্তর আমি বেশ ভালোই দিতে পারব। দুই-তিন মিনিট ধরে জবাব দিলাম। তাঁরা সন্তুষ্ট হলো। তিন মিনিটের মাথায় আমাকে ওরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলল।'


তবে সে চুক্তিতে পূর্বসূরি গ্রেগ চ্যাপেলের নাম লেখা ছিল। সেটা আরেক কান্ড, 'চুক্তি হাতে নিয়ে দেখলাম গ্রেগের নাম লেখা। বললাম, জনাব, আপনারা আমাকে আগের কোচের চুক্তিতেই স্বাক্ষর করতে বলছেন! পরে ওরা থতমত খেয়ে গেল একটু। চুক্তি থেকে চ্যাপেলের নাম কলম দিয়ে কেটে আমার নাম বসালো, আমি পরে সেই চুক্তি সই করলাম!'



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post