জুনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল না দিলে ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী

[ad_1]

নসরুল হামিদ। ফাইল ছবিচলতি জুনের মধ্যে বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকেরা বিদ্যুতের বিল না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোভিড ১৯ কারণে গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের আবাসিক পোস্ট পেইড মিটারের গ্রাহকদের মাসিক বিল নেওয়া বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। মোট বিলের মাত্র ১০ শতাংশ এ সময় জমা পড়েছে। কোনভাবেই বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার সময় আর বাড়বে না।


আজ বুধবার সচিবালয় এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নিজের কার্যালয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।


এর আগে গত মার্চে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, আবাসিক খাতের পোস্ট পেইড মিটারের গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল বিলম্ব ফি ছাড়াই পরে জমা দেওয়া যাবে। আর গ্যাসের আবাসিক পোস্ট পেইড মিটারের গ্রাহকেরা বিলম্ব ফি ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিল জুন মাসে পরিশোধ করতে পারবেন।


নসরুল হামিদ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রাহকদের ব্যাংকে গিয়ে বিল দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে গত তিন মাসে ১০ শতাংশ বিলও জমা পড়েনি। এতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রচুর বকেয়া অর্থ গ্রাহকেরা কাছে জমা পড়েছে। চলতি জুনের মধ্যেই বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে। বকেয়া বিল পরিশোধের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, যারা বকেয়া বিল পরিশোধ করবেন না তাদের বেলায় যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একসঙ্গে তিন মাসের বিল পরিশোধ করতে অনেকের ওপরই চাপ তৈরি হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই বিল পরিশোধের বিষয়ে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছিল। ৩০ জুনের একদিন পার হলেও বিলম্ব মাশুল দিতে হবে বলে নসরুল হামিদ জানান।


গত তিন মাসে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বা ভুতুড়ে বিল এসেছে যা প্রকৃত বিল থেকে বহু গুন বেশি। এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে ঘরে গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুতের বিল করা সম্ভব হয়নি। এতে কোথাও কোথাও প্রকৃত বিলের চেয়ে বেশি বিল এসেছে। এটি পরবর্তীতে সমন্বয় করে দেওয়া হবে।


সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হামিদ আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বরাদ্দ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা।


এক্সপোর্ট ক্রেডিট ইসিএ অর্থায়ন ১ হাজার ৮৩৭ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়ন ৯৫৫ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগে ৯৩ টি প্রকল্পের অধীনে ২৭ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ২৬০ কোটি টাকা, নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ২৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩১৩৮.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post
);