কেউ কারওর চেয়ে কম নন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের নভজোৎ সিং সিঁধুর মেজাজ মর্জি নিয়ে লেখালেখি কম হয়নি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেলও কম যাননা সিঁধুর চেয়ে। মেজাজ দেখানোর অনেক উদাহরণই আছে সোহেলকে নিয়ে। তবে আজ থেকে ২৪ বছর আগে শারজার এক লড়াইয়ে সিঁধু–আমির মুখোমুখি হয়ে পড়েছিলেন। টেলিভিশনের কল্যাণে সেই দৃশ্য দেখে সেদিন কেউই ভাবেননি খেলার মধ্যে নিছক আড্ডায় মেতে উঠেছেন ভারত ও পাকিস্তানের দুই তারকা।
১৯৯৬ সালটাই যেন সিঁধু আর সোহেলর মাথা গরম করার বছর। সে বছরই ইংল্যান্ড সফরে অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে ঝগড়া করে সুটকেস গুছিয়ে সোজা দেশে ফিরে এসেছিলেন সিঁধু। আর ছিয়ানব্বইয়ের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে ব্যাট তুলে মাঠের একটা নির্দিষ্ট জোনে ফিল্ডার রাখার ‘বাণী’ শুনিয়ে পরের বলেই বোল্ড হয়েছিলেন সোহেল। ’৯৬ সালেই শারজার একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সিঁধু ও সোহেলের।
সোহেল অবশ্য এতদিন পর বলছেন, ওটা ঠিক কথা কাটাকাটি ছিল না। তাহলে ওটা কি ছিল! স্যাটেলাইট টিভির বিভিন্ন কৌতুক জাতীয় অনুষ্ঠানে সিঁধু এখন খুব নিয়মিত। টাইয়ের রঙে ম্যাচ করে পাগড়ি পরে হো হো করে হাসা আর 'শের' আবৃত্তি করে দিন কাটানো ভারতের সাবেক এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান বেশ কয়েক জায়গায় ’৯৬ সালে সোহেলের সঙ্গে ঘটা সেই মুহূর্তটি নিয়ে যা যা বলেছেন, পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের আপত্তি সেখানেই।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোহেল, ‘শারজার সেই ম্যাচে সিঁধু পাঁজি সেদিন অপরাজিত ছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। হঠাৎ তিনি আমার কাছে এসে বলেন—‘‘পাঁজি, তুমি তোমার বোলারকে সামলাও। সে রীতিমতো আমাকে অপমাণ করছে।” আমি সে ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। আমি সিঁধুকে বললাম, ফাস্ট বোলাররা এমন করেই থাকে। ওদের মুখ খারাপ। তুমি তোমার খেলায় মন দাও। আমি ম্যাচের পর ওকে যা বলার বলব।’
সোহেলের মতে ঘটনা এতটুকুই। তিনি অবশ্য সাক্ষী হিসেবে আম্পয়ারদের কথা টেনেছেন, ‘যদি গালাগালির ঘটনা ঘটত, তাহলে আম্পায়াররা নিশ্চয়ই সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিত। তাঁরা তো আচরণবিধি নিয়ে খুব কঠোর। আর আম্পায়াররা অধিনায়কদের প্রতি বেশ কঠোরই থাকেন। আমার মনে হয় ভুল বোঝাবুঝিটা দূর করা গেছে।’
[ad_2]
Source link