ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর করোনা শনাক্ত, দাফন গোপালগঞ্জে

[ad_1]

শেখ মো. আব্দুল্লাহধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল জানা যায়। এর আগে গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, করোনা শনাক্ত হয়েছে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর। তাঁকে সড়কপথে মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জ নেওয়া হবে।


ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাঁর গ্রামের বাড়ি কেকানিয়ায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।


হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় গতকাল রাতে প্রতিমন্ত্রীকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক জানান।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে শেখ মো. আব্দুল্লাহ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচিত সাংসদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি খুলনার আযম খান কমার্স কলেজে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে তিনি আওয়ামী যুবলীগে যোগদান করেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সরাসরি তত্ত্বাবধানে গঠিত গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শেখ মো. আব্দুল্লাহ। বাঙালির স্বাধীনতাসংগ্রাম শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশসেবা করার লক্ষ্যে চাকরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।


শেখ মো. আব্দুল্লাহ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতাও প্রদান করেছেন। তিনি অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post