ডিসিসিআইয়ের বাজেট প্রতিক্রিয়া

[ad_1]

প্রোগ্রেসিভ ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক। তবে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটতে হবে, যা অনেকাংশে কঠিন। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সেই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা।


ডিসিসিআই বলেছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগে। তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিবেচনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করছে তারা। ঢাকা চেম্বারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকার এ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের ন্যূনতম সীমা ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। পাশাপাশি বাজেটে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সত্যি সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করার কারণে করদাতাদের ওপর করের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশা করছে তারা।


বাজেটে বেসরকারি খাতের নন লিস্টেড কোম্পানির ২ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা, জরিমানাবিহীন ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধি, নতুন শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা যেমন আর্টিফিশিয়াল ফাইবার প্রোডাকশন, ন্যানো টেকনোলজি–বেইজড প্রোডাক্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অটোমোবাইল পার্টস, রোবটিক ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সফরমার প্রোডাকশন, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিস শিল্পকে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া, দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানি করার ক্ষেত্রে অগ্রিম করের পরিমাণ ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ ও অগ্রিম কর সমন্বয় করার জন্য দুই কর মেয়াদের পরিবর্তে চার কর মেয়াদে সমন্বয় করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করায় ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিসিসিআই। এ ছাড়া যে পরিমাণ প্রদর্শিত বিনিয়োগ ভুয়া প্রমাণিত হবে, তার ওপর ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব অর্থ পাচার রোধে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে তারা।


প্রস্তাবিত বাজেটে উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করার কারণে সব রপ্তানিমুখী শিল্প চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। তাই রপ্তানি আয়ের ওপর উৎসে কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে লোকাল এলসির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর ২ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে অথচ আগে কোনো উৎসে কর ছিল না। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। তাই এই হার ২ শতাংশ নির্ধারণ না করে ১ শতাংশ হারে নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post
);