তিনি শুধু দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারই নন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীও। ক্রিকেট নিয়ে ভীষণ ব্যস্থতা থাকার পরও পড়াশোনাটাও সমান্তরালে এগিয়ে নেওয়া মুশফিকুর রহিম এম.ফিল করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর যেমন টান, একই টান অনুভব করেন প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রতিও।
মুশফিক যখন শুনলেন, তাঁর ক্যাম্পাসের অনেক দোকানি কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত, বসে থাকতে পারেননি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ দোকানির পাশে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও।
এতে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে ক্যাম্পাসের প্রায় ২০০ দোকানির। দোকানিদের এই কষ্টের কথা মুশফিককে জানিয়েছেন তাঁর ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান। শিক্ষকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ত্বরিত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের কাছে ক্যাম্পাসের দোকানিরা ভীষণ কাছের মানুষ। প্রথম আলোকে জানালেন, কাছের মানুষদের কষ্ট দেখে তিনি বসে থাকতে পারেননি, বাড়িয়ে দিয়েছেন সহায়তার হাত, ‘আমাদের দেশের এখন যে পরিস্থিতি, এখন সব খাতের মানুষই কষ্টে দিন পার করছে। যেহেতু অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ, তাঁদের (দোকানি) আয়ও একপ্রকার বন্ধ। এ কারণে আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের একটু সহায়তা করতে। অনেক দোকান আছে, মাঝেমধ্যে যেখানে বসে আমি খেয়েছি। ক্যাম্পাসের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, ডেইরি গেট, প্রান্তিক গেট, এম এইচ (মীর মোশাররফ হোসেন) হলের নিচের দোকান—সবাই আমার অনেক কাছের মানুষ।’
সেই কাছের মানুষেরা এখন নিশ্চয়ই অনুভব করছেন মুশফিক তাঁদের কতটা ভালোবাসেন। তাঁদেরই সহায়তা করতে মুশফিক প্রত্যেককে এক মাসের খাদ্য সহয়তা দিচ্ছেন। দোকানিদের তালিকা করার দায়িত্ব বর্তেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশনের উপপরিচালক ও ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের ওপর।
[ad_2]
Source link