ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন এলাকা লকডাউন ঘোষণা

[ad_1]

প্রথম আলো ফাইল ছবিব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার তিনটি এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার রাত ১২টা থেকে আগামী ২৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এসব এলাকায় জরুরি সেবা ছাড়া যান ও সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে। বাইরের কেউ এসব এলাকায় যেতে পারবে না এবং এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না।


‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকা তিনটি হলো জেলা শহরের পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাইকপাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ-সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তিনি বলেন, লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। যদি বাড়ির ভেতরে যেতে হয় তাহলে ভেতরে গিয়েও তাঁরা চিকিৎসা সেবা দেবেন। কারও বাড়িতে যদি খাবারে সমস্যা হয় সেটিও দেখা হবে।

সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোভিডে আক্রান্ত সংখ্যা ৪০৬ জন। সদর উপজেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১১৪। এর মধ্যে ৭০ জনের বেশি জেলা শহরের বিভিন্ন মহল্লার। পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড কাজীপাড়া, পূর্বপাইকপাড়া ও মধ্যপাড়ায় শনাক্তের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।


জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের পরামর্শে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ-সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ওই সভায় পূর্বপাইকপাড়া, মধ্যপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকাকে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বপাইকপাড়া, মধ্যপাড়া ও কাজীপাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ১০ জনের বেশি শনাক্ত হলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। আর এই তিনটি এলাকায় অন্তত পক্ষে ১২ জনের বেশি করে আক্রান্ত রয়েছে।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, জেলার করোনার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। পৌরসভার তিন এলাকায় করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। খুব দ্রুত এলাকাগুলোকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post