ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে পাকিস্তানের ২৯ সদস্যের দল
সিরিচ শুরু হবে আগস্টে। তবে ইংল্যান্ডে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এ মাসের শেষ সপ্তাহেই রওনা দেবে পাকিস্তান দল। এর জন্য ২৯ সদস্যের দলও দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল হক। দল নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু অন্য রকম একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে পাকিস্তান কোচকে। ইংল্যান্ডে খেলা হবে জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশে। সফরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেনে চলতে হবে অনেক বিধিনিষেধ। এসব নিয়মের ঘেরাটোপে ক্রিকেট খেলার মতো মানসিক শক্তি আছে তো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের?
মিসবাহ জানেন, করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়ে সবার মনেই সংক্রমণের ভয় কাজ করছে। এর মধ্যে এতসব বিধিনিষেধ মেনে ক্রিকেট খেলাটা একটু কঠিনই। তবে একই সঙ্গে মিসবাহ বলেছেন, এসব ধকল সওয়ার মানসিক শক্তি তাঁর খেলোয়াড়দের আছে। এ ছাড়া তিনি খেলোয়াড়দের সেভাবেই তৈরি করেছেন বা করছেন।
সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের কোচ বলেছেন, 'এটা অস্বাভাবিক এক পরিস্থিতি। সফরে ভিন্ন রকমের বিধিনিষেধ থাকবে। খেলোয়াড় বা কর্মকর্তাদের জন্য এটা কঠিন হবে। কিন্তু এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। ' বিষয়টি নিয়ে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এরই মধ্যে কথাও বলেছেন মিসবাহ, 'আমি আর চিকিৎসক সোহেল সেলিম সফর নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছে।'
এরপরই বললেন আজহার আলী-বাবর আজমদের মানসিকভাবে তৈরি করে তোলার কথা, 'যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো করে আমরা প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তৈরি করেছি। চার সপ্তাহ আলাদা আলাদাভাবে অনুশীলন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন—সবকিছুর জন্যই।
গত মার্চ থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এখন সবাই আসলে ক্রিকেটে ফিরতে উন্মুখ বলেও মনে করেন মিসবাহ, 'এটা মোটেই সহজ পরিস্থিতি নয়। তিনমাস ক্রিকেট খেলিনি আমরা। আমার তো মনে হয় খেলোয়াড়েরা ক্রিকেটটা খুব মিস করেছে আর মাঠে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে।'
[ad_2]
Source link