বাহরাইনে কাজে যাচ্ছেন ৮০০ জন, ফিরবেন ৬০০

[ad_1]

প্রতীকী ছবিমধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশকে নিয়ে গড়া উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বাহরাইনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ততটা বেশি নয়। গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৪১ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২২৭ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে দেশটিতে। 


এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে এ মাসেই অন্তত ৮০০ কর্মী বাহরাইনে তাঁদের কর্মস্থলে ফিরতে যাচ্ছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালিত ২২ ও ২৬ জুনের বিশেষ দুটি ফ্লাইটে তাঁরা বাহরাইনে যাবেন।

বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বৈধ ভিসা রয়েছে—এমন লোকজনের জন্য ওই ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে। ওই ফ্লাইটগুলোয় চড়ে বাহরাইনে আটকে পড়া অন্তত ৬০০ বাংলাদেশির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর এই প্রথম দেশে আটকা পড়া বাংলাদেশের কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন।

মানামা থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, বাহরাইন থেকে শারীরিক অসুস্থতা ও জরুরি পারিবারিক কারণে অনেকেই ফিরতে চেয়েছেন। আবার ছুটিতে গিয়ে বাংলাদেশে অন্তত কয়েক হাজার কর্মী আটকা পড়েছেন। তাঁরাও ফিরতে চান। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইটের প্রতিটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০০ কর্মী বাহরাইনে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার ওই ফ্লাইটগুলোতেই প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন।


বাহরাইনে কাজ করছেন—এমন কত কর্মী বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন, তা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে ছুটিতে গিয়ে তিন হাজারের বেশি কর্মী আটকা পড়েছেন। যাঁদের ভিসার মেয়াদ জুনে শেষ হবে—এমন অন্তত ৮০০ কর্মীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২২ ও ২৬ জুন বাহরাইনে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ফ্লাইটগুলোয়ই বাংলাদেশিরা ফিরে যাবেন।

ভাড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকা থেকে যেসব বাংলাদেশি বিশেষ ফ্লাইটে চড়ে মানামা যাবেন, তাঁদের জনপ্রতি ভাড়া দিতে হবে ৪২ হাজার টাকা। আর বাহরাইন থেকে যাঁরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ভাড়া গুনতে হবে ৩৫ হাজার টাকা।

বাহরাইনের গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো সান্ধ্য আইন জারি কিংবা সব জায়গায় ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে জরুরি সেবায় জড়িত ছাড়া সবকিছু বন্ধ করা হয়েছিল। ঈদের ছুটির পর থেকে সেখানকার জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বাহরাইনের রাজা শেখ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। বাহরাইনের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা এলএমআরএর প্রধান নির্বাহী ওসামা আল আবসির বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জিডিএন সম্প্রতি এক খবরে জানিয়েছে, মূলত ফ্রি ভিসা নিয়ে যাঁরা বাহরাইনে গিয়েছেন, তারা ওই সুযোগ পাবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা আবেদন করবেন, তাদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হবে। এর ফলে অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মীরা কোনো ফি ছাড়াই বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। এসব কর্মী যেমন বাহরাইনে বৈধ হয়ে নতুন করে কাজ করার সুযোগ পাবেন, তেমনি কোনো রকম জরিমানা না দিয়েই চাইলে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারবেন। অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মী কিংবা যেসব বিদেশি কর্মীর কাজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাঁরা এলএমআরএর দেওয়া ফ্ল্যাক্সিবেল ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে সাধারণ ক্ষমার সুযোগটি নিতে পারবেন।


এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মী আবেদন করে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ১৩ হাজারের বেশি।


এদিকে বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত নয়জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাত শতাধিক; যদিও আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে গেছেন।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post