কুমিল্লায় আইসিইউ না পাওয়া রোগীর মৃত্যু, স্বজনদের হুলুস্থুল

[ad_1]

প্রতীকী ছবিতাৎক্ষণিক আইসিইউ সুবিধা না পাওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনে স্থাপিত কোভিড-১৯ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালের দরজা–জানালা ভাঙচুর ও অক্সিজেনের লাইন ছিঁড়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধায়। পরে হাসপাতালের অন্য রোগীর স্বজনেরা ওই তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আইসিইউতে শয্যা আছে ১০টি। সেগুলোতে আগে থেকেই রোগী ভর্তি আছে। সকালে চৌদ্দগ্রামের ওই রোগী ও তাঁর স্বজনেরা পিপিই পরে হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে পড়েন। হাসপাতালের কর্মচারী ও চিকিৎসকেরা মনে করেছিলেন, কোভিড-১৯ হাসপাতালের লোকজনই তাঁদের এখানে ঢুকতে দিয়েছেন। পরে হাসপাতালে রোগী মারা যান। এ সময় রোগীর লোকজন ভাঙচুর করেন ও অক্সিজেনের তার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে লোক এসে লাইন ঠিক করে দেন। মারপিট করা লোকদের বাবা মারা যাওয়ায় মানবিক কারণে তিন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা এলাকার করোনায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধকে নিয়ে তাঁর স্বজন ও সন্তানেরা সরাসরি কোভিড হাসপাতালের আইসিইউ কক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় ওই রোগীর শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ ছিল ৩৮ শতাংশ। কিন্তু কোনো ধরনের আইসিইউ ফাঁকা ছিল না। এরই মধ্যে ওই রোগী মারা যান। তখন রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা অক্সিজেনের লাইন বন্ধ করেন ও ছিঁড়ে ফেলেন। এই সময় আতঙ্কে চিকিৎসকেরা ওই স্থান ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে আইসিইউতে ভর্তি থাকা অন্য রোগীর স্বজনেরা চৌদ্দগ্রামের রোগীর সঙ্গে আসা তিন ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

৩ জুন কোভিড-১৯ হাসপাতালের উদ্বোধন হয়। ১৫৪ শয্যার এ হাসপাতালের মধ্যে ১৩৪ শয্যায় কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা আছে। ১০ শয্যার আইসিইউ এবং ১০ শয্যার রোগীকে সিলিন্ডারে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে এ হাসপাতালে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post