করোনা কেড়ে নিল সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানকে

[ad_1]

বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকরোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কেড়ে নিয়েছে সিলেটের রাজনীতিতে সবচেয়ে পরিচিতি মুখ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে (৬৯)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।


ঢাকা থেকে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছোট ভাই মাসুক উদ্দিন জানান, রাত দুইটা ৪৫ মিনিটের দিকে ভাই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এর কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। এর আগে তিনি টানা ৩০ বছর সিলেটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর তাৎক্ষণিক সিলেট পৌঁছায়। ভোর রাত থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুঠোফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সবমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বদরউদ্দিন আহমদের সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে চিকিৎসক আরমান আহমদসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় আছেন। তাঁরা মরদেহ নিয়ে সিলেট রওনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


পরিবার সূত্র জানায়, গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হন বদরউদ্দিন আহমদ। পরদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেটে করোনা চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা ক্রমে অবনতি হলে ৭ জুন সিলেট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাঁকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। রোববার মধ্যরাতে হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং মৃত্যুবরণ করেন।


কামরানের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরানও করোনায় আক্রান্ত। গত ২৭ মে পরীক্ষায় তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে সিলেটের বাসায় আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন হলে তিনি প্রথম ভারপ্রাপ্ত মেয়র, পরে ২০০৩ সালের নির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত মেয়র হন। ২০০৮ সালে কারাবন্দী থেকে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে সিলেট পৌরসভা থাকাকালে ১৯৭২ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় প্রথম পৌর কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৫ বছর কমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৫ সালে পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হেরে যান।


পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সিলেটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন একটানা প্রায় ৩০ বছর। ১৯৮৯ সালে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০২ সাল থেকে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মহানগর কমিটির সম্মেলনের আগ পর্যন্ত তিনি নগরের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে ছিলেন।



[ad_2]

Source link
IRFAN H

Hi, This is IrfanH I love to travel and passing by gossip with friends.

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post